বাবা’দের ইদ

বাবা, ও বাবা আমাকে ইদে নতুন জামা কিনে দিবা না?

মেয়েটা এমনভাবে কথা বললে মোন্তার চোখ জলে ভরে যায়, আবেগে কণ্ঠস্বর বুজে আসে। মোন্তা মনিকে কোলে টেনে নিয়ে মাথা হাত বুলিয়ে আদর করে বলল, দিব রে মা।

কবে দিবা? বাবা মন খারাপ করে বসে আছ কেনো? সবাই ইদের নতুন জামা-কাপড় কিনছে, তুমি আমাকে কবে নতুন জামা কিনে দিবা?

দিব রে মা।

কবে দিবা? বাজারের সব জামা তো শেষ হয়ে যাবে।

মোন্তা মনির নরম হাতটা নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে শুষ্ক হাসি হেসে বলল, ধুর পাগলি বাজারের সব জামা কি কোনোদিন শেষ হয়ে যায়। টাকা হোক তখন তোকে আমি একটা সুন্দর জামা কিনে দিব।

মনি বাবার চিবুকে চুমু দিয়ে বলল, তুমি আমার খুব ভালো বাবা।

মনি চৌকি থেকে নেমে দৌড়ে মায়ের কাছে গেল, আম্মু আব্বু আমাকে নতুন জামা কিনে দিবে, কী মজা কী মজা।

দিবে তো।

আব্বু খুব ভালো।

হ্যাঁ তোর আব্বু খুব ভালো।

 

আর কয়েকদিন পরেই ইদ। বিত্তবানদের ইদের কেনাকাটা শুরু হয়েছে রমজানের চাঁদ দেখার পর থেকে, দেশে কিংবা দেশের বাইরে, মধ্যবিত্তদের ইদ শুরু হয়েছে রমযানের মাঝামাঝি থেকে আর নিম্নবিত্ত, রুটি-রুজির জন্য যাদের প্রতিদিন সংগ্রাম করতে হয়, যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায়, নজরুলের কৃষকের ঈদ কবিতার মতো,

’’জীবনে যাদের হররোজা ক্ষুধায় আসে না নিদ

মুমূর্ষু সেই কৃষকের ঘরে এসেছে কি আজ ঈদ?’’

সেই কৃষকের মতো যাদের প্রতিদিনের অন্নের জন্য প্রতিদিন সংগ্রাম করতে হয়, ইদের কাপড়-চোপড়ের জন্য যাদের ঘরে একটি টাকাও নেই ইদের আনন্দ তাদের জন্য ফিকে হয়ে যায়।

মোন্তাজুর রহমান ইসলাম মোন্তা মিয়া রিকসা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে, তিন সদস্যের পরিবার। স্বামী-স্ত্রী আর একমাত্র মেয়ে মনি। মনি মেধাবী ছাত্রী, ক্লাস সিঙে পড়ে। মনিকে নিয়ে মোন্তার অনেক স্বপ্ন, লেখাপড়া শিখে একদিন অনেক বড় হবে। এই রিকসা চালাতে গিয়ে তার অনেক কিছুই চোখে পড়ে। তার রিকসায় যাতায়াত করতো এই পাড়ারই একটা মেয়ে, স্নিগ্ধা। সেদিন শুনলো স্নিগ্ধা নাকি সরকারি চাকরি পেয়েছে। এই তো কয়েকদিন আগে দেখলো একটা দোকানের সামনে পুলিশ, সে কৌতূহলী হয়ে রিকসা দাঁড় করালো। একটা মেয়ে বয়স আর কতই হবে ত্রিশ বত্রিশ হবে। সে নাকি ম্যাজিস্ট্রেট, কাপড়ের দোকানে দাম বেশি চাচ্ছে বলে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। সেদিন থেকে মোন্তা ইচ্ছা তার একমাত্র মেয়েকে অনেক লেখাপড়া শেখাবে, সে যেন ম্যাজিস্ট্রেট হয়। মানুষের ন্যায়-অন্যায়ের বিচার করতে পারে। সেদিন বাসায় এসে ঘটনাটা তার স্ত্রী মারুফাকে বলল, মারুফা আবেগ আল্পুত হয়ে বলল, আমরাও মনিকে অনেক লেখাপড়া শেখাবো তাতে করে যদি শুধু তোমার ইনকামে না হয় তো আমিও মানুষের বাসা-বাড়িত ঝিয়ের কাজ করবো।

 

শহরে রিকশা সংখ্যা বেড়ে গেছে তার ওপর আছে অটোরিকশা, শহরটা যেন অটোরিকশা আর রিকসায় গিজগিজ করছে। রিকসায় রোজগারও কমেছে। তবুও শহরে বাসা ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, সংসারের আনুষঙ্গিক ব্যয়, মনির স্কুলের খরচ, প্রাইভেট টিউশনির ফি সব মিটিয়ে কোনোভাবে দিন চলে যেত। গত বছর রিকসা অ্যাঙিডেন্ট করে মোন্তা প্রায় দু’মাস বসেছিল, সেসময় একটা এন.জি.ও থেকে কিছু টাকা ঋৃণ নিয়েছিল সেই ঋৃণের কিস্তি দিতে গিয়ে সংসার চালানো আরো কঠিন হয়ে পড়েছে। তার ওপর মরার ওপর খোঁড়ার ঘা হয়ে দঁড়িয়েছে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি। বাজারে গেলে টাকাগুলো যেনো তেজপাতা হয়ে যায়। পাঁচশ টাকার বাজার করলে মাছ-মাংসের মুখ দেখা দায়। সারাদিনে রিকসা চালিয়ে যা আয় হয় সেদিনের বাজার করতেই তা শেষ হয়ে যায়, মাছ-মাংসা খাওয়া আর কাপড়-চোপড় কেনা তো দূরের কথা।

মোন্তার অনেক আশা ছিল ইদে মনিকে একটা সুন্দর জামা কিনে দিবে, মারুফাকে একটা শাড়ি কিনে দিবে তারপর ইদের দিন মা-মেয়েকে নিয়ে তিস্তা নদীর পাড়ে নিয়ে যাবে। ব্রিজে কাছে একটা সুন্দর পার্ক হয়েছে, মনি সেখানে দৌড়াদৌড়ি করে খেলবে, সে আর মারুফা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে দেখবে।

মোন্তার স্বপ্ন বুঝি আর পূরণ হলো না। আজকাল রিকসায় তেমন রোজগার নেই। দিনের আয় দিনেই চাল-ডাল কিনতে শেষ হয়ে যায়। পনেরো রোজা চলে গেল কিন’ মোন্তা এখনো মেয়েটার জামা কেনার মতো একটা টাকাও জোগাড় করতে পারেনি।

মোন্তা মনিকে আশ্বস’ করেছে বটে কিন’ সে মনিকে কীভাবে নতুন জামা কিনে দিবে তার কোনো উপায় খুঁজে পেল না। সাধারণত মোন্তা প্রতিদিন সকালবেলা রিকসা নিয়ে বাস স্ট্যান্ড বা রেল স্টেশন যায় কিন’ পরদিন ভোরবেলা রেলস্টেশনে গেল যদি ঢাকার কোনো প্যাসেঞ্জার পাওয়া যায় তাহলে কিছু বাড়তি রোজগার করতে পারলে ইদের কেনাকাটাটা কোনোভাবে সেরে ওঠা যাবে। পর পর কয়েকদিন রোজগারের পর মোন্তার কাছে প্রায় হাজার দেড়ে টাকা জমলো। মোন্তা স্নেহমাখা কণ্ঠে, মনি, ও মা মনি বলে ডাকতেই মনি তার ঘরে এলো, বাবা।

তোর মাকে ডাক দে দেখি।

ততক্ষণে মনি তার বাবার কাছে এসে দাঁড়িয়েছে সে আম্মু বলে জোরে ডাক দিতেই মারুফা ঘরে এলো, কী হলো তোমাদের বাপ-বেটির?

কিছু হয়নি তো, তোমাকে ডাক দিলাম এই বলে সে পকেট থেকে টাকাগুলো বের করে মারুফার হাতে দিল, এই নাও টাকা, কালকে মনিকে নিয়ে বাজারে গিয়ে মায়ের একটা জামা আর তোমার জন্য একটা শাড়ি কিনিও।

মারুফা টাকা গুণে বলল, দিলাই তো দেড় হাজার টাকা এরমধ্যে মনির জামা আবার আমার একটা শাড়ি!

হবে না? মোন্তা জিজ্ঞেস করল।

মারুফা ঠোঁট উল্টে বলল, নাহ।

আরে বোঝ না, কিনতে চাইলে তো এই দেড় হাজারে কেনা যায় আবার দেড় লাখেও কেনা যায় না। ইনকামের অবস’া তো দেখছোই। একটু চেষ্টা করো আর যদি সম্ভব হয় মনির জন্য কিছু…

মারুফা মোন্তার কথার মাঝে বাধা দিয়ে বলল, আরো কিছু কিনতে চাইলে বলো, তবুও হবে।

আরে না, না, এই টাকায় আর কিনতে হবে না তো, আমার টাকা হলে মেয়েটাকে আমি নিজে বাজারে নিয়ে গিয়ে একজোড়া ভালো জুতা কিনে দিবো বলে মনির মাথায় হাত বুলিয়ে দিল।

মনি একটা সুন্দর হাসি হেসে বলল, ধন্যবাদ বাবা।

ইদ দিন ঘনিয়ে এলো। আর কয়েক দিন পরেই ইদ, সেদিন মারুফা তার শাড়ি আর মনি’র জন্য একটা থ্রি-পিস কিনে সেলাই করতে দিয়েছিল। আজ সেটা নিয়ে এসেছে, মনি নতুন জামা পরে বাবার সামনে এসে দাঁড়ালো, বাবা!

ওরে মা তোকে তো খুব সুন্দর লাগছে। খুলে রাখ মা, নতুন জামা শুধু ইদের দিন পরতে হয়। আগে পরলে তো পুরানা হয়ে যাবে।

আচ্ছা বাবা বলে মনি বায়নার সুরে বলল, বাবা তুমি যে আমাকে জুতো কিনে দিতে চেয়েছিলে?

দিব মা। আমার মনে আছে। জুতো তো আর সেলাই করতে হবে না যে আগে কিনতে হবে, ইদের আগের দিন কিনলেও হবে?

আচ্ছা বাবা, বলে মনি চলে যাচ্ছিল মোন্তা মনির হাত টেনে ধরে তাকে কাছে নিয়ে জোরে মারুফা বলে ডাক দিল।

মারুফা এলো, মোন্তা মারুফার হাতে একটা পাঁচশ টাকার নোট দিয়ে বলল, কালকে মনিকে একজোড়া জুতো কিনে দিও।

মনি বাবাকে জড়িয়ে ধরলো, বাবা।

হ্যাঁ রে মা দেখলাম তুই মন খারাপ করিস কী না?

আমি মন খারাপ করিনি বাবা।

মারুফা টাকা হাতে নিয়ে বলল, আমাদের মা-বেটির তো হলো এবার তুমি কিছু নাও।

আমি আবার কী নিবো, তোমরা নিলেই আমার নেয়া হবে।

তাই বলে একটা ইদে তুমি কিছু নিবে না?

আমার তো সবকিছু আছে।

উঁহু, আছে বললে তো হবে না, ইদ উপলক্ষ্যে একটা পাঞ্জাবি বা একটা নতুন শার্ট নাও মারুফা বলল।

আচ্ছা দেখা যাক আমাকে নিয়ে তুমি ভেবো না।

মনি গম্ভীর স্বরে বলল, দেখা যাক বললে তো হবে না, তোমাকে অবশ্যই নিতে হবে।

নিব মা, নিব, মায়ের আদেশ কি আর পালন না করে পারা যায়। তবে আগে সব খরচ শেষ হোক এই যেমন এখনো তো সেমাই, চিনি, পোলাওর চাল, মাংস কেনা বাকি।

আর কিন’ সময়ও নেই মনির আব্বু। আর মাঝখানে চারদিন বাকি আছে মাত্র।

আচ্ছা, আল্লাহ চায় তো সব হবে।

আরো দুদিন কেটে গেল। মোন্তা আরো পাঁচশ টাকা জমা করেছিল কিন’ সেদিন ভোরবেলা রিকসা নিয়ে যাওয়ার সময় মারুফা স্মরণ করে দিল, আজ কিন’ কিস্তি আছে।

হাবুর বুক কেঁপে উঠল, ও তাই তো, এ মাসে কিস্তিটা না দিলে হয় না মনির আম্মা?

আমি যতদূর জানি তাতে কিস্তি মিস করা যাবে না।

তুমি একটু চেষ্টা করো না। একটু বুঝিয়ে বলো। কিস্তিটা না দিলে হয়তো সবকিছু কেনা সম্ভব হবে আর যদি কিস্তি দিতে হয় তবে তো…

মারুফা হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলল, তুমি টাকাটা দিয়ে যাও, আমি বুঝিয়ে বলব, যদি না মানে তো আর কী করা, তখন তো দিতেই হবে।

আচ্ছা বলে মোন্তা টাকাটা মারুফার হাতে দিল।

 

ইদের চাঁদ উঠেছে, ইদের শেষ মুহূর্তের কেনাকাট চলছে, বাজারের কাপড়-চোপড়ের দোকানগুলো এখনো জমজমাট। একটা ভাড়া নামিয়ে দিয়ে মোন্তা সারাদিনের রোজগারের টাকাগুলো গুণে দেখে কিছুটা হতাশ হলো। আরো অনেক টাকা রোজগার করতে হবে তাকে কিন’ সময় তো আর বেশি নেই। একটু পরেই তো ভাড়া কমতে শুরু করবে। তার নিজেরও বাজার করতে হবে। সেমাই চিনি, পোলাওর চাউল, মাংস কিনতে হবে, এমনি নানান কথা ভাবতে ভাবতে মোন্তার মোবাইল ফোন বেজে উঠল। সে ফোন রিসিভ করল, মারুফা ফোন করেছে, কোথায় তুমি?

এই তো প্যাসেঞ্জার নামিয়ে দিলাম এখন নতুন প্যাসেঞ্জারের জন্য দাঁড়িয়ে আছি।

বাজার করবা না, পরে বাজার পাবা তো?

আচ্ছা দেখি।

মনি তোমার সঙ্গে কথা বলবে।

আচ্ছা দাও।

অপর পাশ থেকে মনির কণ্ঠস্বর ভেসে এলো, বাবা কখন আসবা?

এই তো রে মা আসছি।

তাড়াতাড়ি এসো, পাঞ্জাবি নিতে কিন’ ভুল করো না।

মেয়ের মুখে পাঞ্জাবি নেয়ার কথা শুনে হাবুর তার মায়ের কথা মনে পড়ল। তার মা এমন করে কথা বলতো, তাদের ইদও এমনিভাবেই যেত, কেনাকাটা করতে গিয়ে গুঁড় দুধ কেনার টাকা থাকতো না, কত ইদে মোন্তা দুধ ছাড়াই সেমাই খেয়েছে। বেশিরভবাগ ইদে মায়ের শাড়ি কিংবা বাবার পাঞ্জাবি বা লুঙ্গি কেনা হতো না।

মোন্তা একটা প্যাসেঞ্জার পেল, প্যাসেঞ্জার নিয়ে যেতে যেতে রেলগেটে আটকা পড়ে প্রায় আধঘণ্টা সময় নষ্ট হলো। প্যাসেঞ্জার নামিয়ে দিয়ে আরেকটা ভাড়া মারতে মারতে মার্কেটে ভিড় কমতে শুরু হলো। মোন্তা আরো একটা ভাড়া মারল ততক্ষণে মার্কেট প্রায় ফাঁকা কিন’ সেমাই চিনির দোকান আর কাঁচাবাজারে এখনো কিছুটা ভিড় আছে। মোন্তা রিকসা রেখে মার্কেটে ঢুকলো।

একেকটা জিনিসের দাম শুনে মোন্তার মাথা যেন চক্কর দিয়ে উঠল। সেমাই, চিনি আর আধা কেজি গরুর মাংস কেনার পর আর তেমন টাকা রইল না, মেয়েটাকে বলেছিল ইদের দিন পোলাও মাংস রান্না হবে কিন’ বলে মোন্তা পকেট থেকে টাকা বের করে গুণে দেখলো। তার মুখটা আনন্দে ফিক করে উঠল। পোলাওর চাউল কেনার মতো টাকা আছে, মরিচ, মসলা, গুঁড় দুধ কেনার পরও টাকা আছে। কেনাকাটা শেষ করে যখন সে আবার টাকা গুণল তখন পকেটে মাত্র একটা পঞ্চাশ টাকা আছে কিন’ পঞ্চাশ টাকায় তো পাঞ্জাবি বা লুঙ্গি কিছুই হবে না। তবুও মোন্তার মনে কোনো কষ্ট নেই, মেয়েটার মুখে তো হাসি ফুটবে, সে চাইলে ইদের পরেও একটা পাঞ্জাবি কিনতে পারবে।

 

মোন্তা রিকসা নিয়ে বাসায় ফিরল। বাজারের ব্যাগটা মারুফার হাতে দিয়ে একটা নি:শ্বাস টেনে বলল, জিনিসপত্রের যা দাম…

মনি বাবাকে দেখে দৌড়ে এলো, বাবা তোমার পাঞ্জাবিটা দেখি, কীরকম কালার নিয়েছ, তোমার তো আবার…বলতে বলতে সে মায়ের সঙ্গে বাজারের ব্যাগ থেকে সবকিছু বের করে যেন চমকে উঠল, বাবা, তোমার পাঞ্জাবি কোথায়?

হাবু একটা শুষ্ক হাসি হেসে বলল, আমার তো পাঞ্জাবি আছে রে মা।

তোমার তো ভালো পাঞ্জাবি নেই বাবা, ইদে তুমি একটা নতুন পাঞ্জাবি নিবে না?

এ তুমি কী করলে মনির আব্বু, আমাদের কিনে দিলে অথচ তুমি কিছু নিলে না, বলতে বলতে মারুফা কণ্ঠস্বর আবেগে জড়িয়ে গেল।

মনি ফুঁপিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাবার বুকে মাথা রাখল, বাবা তুমি আমাকে এত্ত ভালোবাসো।

মোন্তা মেয়ের পিঠে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে রুদ্ধ কণ্ঠে বলল, ইদ মানে খুশি, ইদ মানে আনন্দ, আমি তোর আম্মুকে, তোকে জামা কাপড় কিনে দিতে পেরেছি, তোমাদের মুখে হাসি দেখছি এতেই আমার আনন্দ রে মা।

সমাপ্ত।

Facebook Twitter Email

চোখের সামনে যেকোন অসঙ্গতি মনের মধ্যে দাগ কাটতো, কিশোর মন প্রতিবাদী হয়ে উঠতো। তার বহিঃপ্রকাশ ঘটতো কবিতা লেখার মধ্য দিয়ে। ক্ষুধা ও দারিদ্রের বিরুদ্ধে, নির্যাতন ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কবিতা। কবিতার পাশাপাশি সামাজিক অসঙ্গতি নিয়ে শুরু হলো ছোটগল্প, উপন্যাস লেখা। একে একে প্রকাশিত হতে থাকলো কাব্যগ্রন্থ, উপন্যাস। প্রকাশিত হলো অমর একুশে বইমেলা-২০২০ পর্যন্ত ০১টি কাব্যগ্রন্থ, ১৪ টি উপন্যাস, ০৪ টি কিশোর উপন্যাস, ০১ টি গল্পগ্রন্থ এবং ০১ টি ধারাবাহিক উপন্যাসের ০৩ খণ্ড। গ্রন্থ আকারে প্রকাশের পাশাপাশি লেখা ছড়িয়ে পড়লো অনলাইনেও। লেখার শ্লোগানের মতো প্রতিটি উপন্যাসই যেন সামাজিক অবস্থার প্রতিচ্ছবি।

Posted in ছোটগল্প

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*