Blog Archives

শেষ অধ্যায়

শাহাদত হোসেন জন্মগ্রহণ করেছেন গ্রামের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে, বাবার একমাত্র সন্তান, দেশের সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। চাকরি সেকালেও যেমন দেশে সোনার হরিণ ছিল একালেও তেমনিই আছে। সোনার হরিণ একবার কেউ পেলে হাতছাড়া করেছে এমন নজির বুঝি

Posted in উপন্যাস

ক্যাপ্টেন

ক্লাস চলছে। কেমিস্ট্রি ক্লাস। রনি আর টিটু পাশাপাশি বসেছে, মাঝে মাঝেই টিটু রনিকে টিজ করছে, রনির কানে কানে ফিসফিস করে বলছে, আরে রাখ তোর পড়া। এতো পড়ে কী করবি? রনি কিছুটা রাগান্বিত স্বরে বলল, চুপ কর রনি। আমি কেমিস্ট্রি কম

Posted in কিশোর উপন্যাস

বিজয়িনী

রাতের আঁধারে সবুজ যেদিন শঙ্কর মাধবপুর গ্রাম থেকে পালিয়ে এলো সেদিন শীতের রাত, ঘুটঘুটে অন্ধকার, শঙ্কর মাধবপুর গ্রাম থেকে রাজিবপুর পৌঁছাতে পায়ে হাঁটার পথ তিন কিলোমিটার, উঁচু-নিচু রাস্তা, ধুধু বালুচর আর সাদা কাশবন। তারপর  সোনাভরি নদী। মনের ভিতরে আছে কেউ

Posted in উপন্যাস

ঘোর

এটা কি পৃথিবী নাকি অন্য কোন গ্রহ? এখানকার মাটি এমন কেন? এখানকার আলো-বাতাস, এখানকার বাতাসে একটা গন্ধ, কেমন যেন একটা গন্ধ? এ গন্ধ তো আমার একেবারে অপরিচিত এ কোথায় এলাম আমি? আমি কোথায়? সূর্য নেই, চাঁদ নেই অথচ আলোকিত, যেন

Posted in উপন্যাস

মাস্টার মাইন্ড

গোয়েন্দাদের চোখ এখন দেয়ালে লেখা বিভিন্ন সাংকেতিক চিহ্নের ওপর। এই চিহ্নগুলোর পরিবর্তন আছে যেমন : ডেঞ্জারাস বয়েজ গ্রুপ, ব্রাইট স্টার গ্রুপ, গ্রুপ আন্ডার সিঙটিন, নর্থ সাউথ গ্রুপ ইত্যাদি কিন্তু হাসান সাহেব খুনের ব্যাপারে কিশোরদের কী যায় আসে? হাসান সাহেব বয়সে

Posted in কিশোর উপন্যাস

ট্রেন টু ভিলেজ

ক্লাস থেকে বেরিয়ে আসতে আসতে রকি টনিকে বলল, এই টনি তুই এবার ভ্যাকেশনে কী কর্‌বি? কী করব মানে? রকি বলল, আমার মাথায় একটা আইডিয়া এসেছে। কী আইডিয়া? এবার ভ্যাকেশনে আমি গ্রামে যাব। টনি রকির কথা শুনে লাফিয়ে উঠল, ওয়াও গুড

Posted in উপন্যাস

দুঃখবিলাস

দুঃখবিলাস হৃদয়ে বাঁধতে না পারলে শিকলে বাঁধা যায় না তবু শিকলে বাঁধার চেষ্টা কোথায় না চলে, রাষ্ট্রীয় জীবন, সমাজ জীবন থেকে ব্যক্তি জীবন, দাম্পত্য জীবন পর্যন্ত শিকলে বাঁধার চেষ্টা চলে অবিরত। শিকলে বাঁধা মানুষটি খাঁচায় বন্দি পাখির মতো মুক্তির জন্য

Posted in উপন্যাস

দাগ

শুভ্রর চোখে চোখ পড়তেই উর্মী চমকে উঠল, আপন মনে বলল, শুভ্র না? হ্যাঁ শুভ্রই তো, ক্লাস সিক্স থেকে ক্লাস এইট পর্যন্ত ক্লাসের সেকেন্ড বয় ছিল।

Posted in উপন্যাস

প্রিয়ন্তী

প্রিয়ন্তীর সঙ্গে সুশান্তর বিয়ে হয়েছে তিনবার। একই বর-কনে তিনবার বিয়ের বিষয়টি অনেকের মনে কৌতূহলের সৃষ্টি করল, কারো অবিশ্বাস্য মনে হলো, কারো কারো মনে হাস্য রসের সৃষ্টি করল, কারো কারো হৃদয়কে আহত করল।  কিন্তু একই বর-কনের মধ্যে তিনবার বিয়ে হবে কেন?

Posted in উপন্যাস

পরীর স্বপ্ন

মেয়েটির হাসিটি খুব সুন্দর কিন্তু তার শব্দ করে হাসতে মানা, মেয়েটির কান্নার শব্দটি অত্যন্ত করুণ কিন্তু তার কাঁদতে মানা। মেয়েটির হাঁটুনিতেও একটা আর্ট আছে কিন্তু তার ঘর থেকে বের হতে মানা। মেয়েটি এখন ক্লাস এইটের ছাত্রী, আগামীতে তার জে.এস.সি পরীক্ষা

Posted in উপন্যাস

ছায়াপুরুষ

তন্দ্রা এটা চায়নি। সে জীবনটাকে সাজাতে চেয়েছিল নিজের মতো করে, তার স্বামী থাকবে, সংসার থাকবে, সন্তান থাকবে, এই সব নিয়ে সে একটা স্বর্গ রচনা করবে, স্বর্গ! সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই তাড়াহুড়া করে স্বামীর জন্য নাস্তা তৈরি করবে, বাচ্চাকে স্কুল যাওয়ার

Posted in উপন্যাস

ক্রিকেটার তূর্য (কিশোর উপন্যাস)

জীবনে প্রথম সেঞ্চুরি। এত অল্প বয়সে দিনাজপুরে আগে কেউ সেঞ্চুরি করেনি, এমনকি প্রফেশনাল ক্রিকেটাররাও না। অথচ স্কুলের মাঠে, অনিয়মিত একজন ক্রিকেটার ভালো খেলতে পারে এটা যেন কারো ধারণাই ছিল না। দিনাজপুর শহরের ক্রিকেট ক্লাবগুলোতে যারা নিয়মিত প্র্যাকটিস করে তূর্যর খেলা

Posted in উপন্যাস

গডফাদার-০১

শৈশব থেকেই জামাল অত্যন্ত চঞ্চল, চটপটে আর ডানপিটে ছিল। প্রতিদিন স্কুলে কোন বন্ধুর কান টেনে ধরা, গালে চড় দেয়া বা কারো বই ছিঁড়ে দেওয়া এসব ছিল তার নিত্যদিনের অভ্যাস। স্কুলে দেরিতে যাওয়া, টিফিন পিরিয়ডে স্কুল থেকে পালিয়ে বাসায় ফেরা, স্কুলের

Posted in উপন্যাস

গডফাদার-০২

সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশপ্রেমিক দল নির্বাচনে জয়ী হলো, কয়েকবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পর এবারই প্রথম মোস্তফা সাহেব সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন। তাঁর আনন্দের সীমা রইল না। তাঁর সঙ্গে জামাল এবং দলের অন্যান্য নেতা কর্মীরাও যেন আনন্দে মেতে

Posted in উপন্যাস

গডফাদার-০৩

জামাল সাধারণত সকালবেলা বাসা থেকে বের হয়, সারাদিন বাসার বাইরে কেটে যায়। আজ জামাল হঠাৎ করে বাসায় দুপুরে ভাত খেতে বাসায় ঢুকল। অনন্যা জামালকে দেখে কিছুটা অবাক হলো, তুমি দুপুরে বাসায়? অনন্যা ভাত দাও, বলে জামাল ডাইনিং টেবিলের সামনে চেয়ারে

Posted in উপন্যাস

অপেক্ষা

কাশিমপুর কারাগার-২। গেটে বড় বড় করে লেখা, ”রাখিব নিরাপদ দেখাব আলোর পথ”। এই কারাগারের বাইরে সাক্ষাৎ  প্রার্থীরা অপেক্ষা করছে। ভিতরে, এই কারাগারের উঁচু, অপ্রতিরোধ্য দেওয়াল বেষ্টিত স্থানে তাদের প্রিয়জনরা এতক্ষণে জেনে গেছে বাইরে তাদের জন্য তাদের নিকটজনেরা অপেক্ষা করছে। এই সাক্ষাৎ

Posted in উপন্যাস

খুঁজে ফিরি তারে

আরশী মোবাইলের বাটন টিপলো, দুঃখিত এই মুহূর্তে মোবাইল সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, অনুগ্রহপূর্বক কিছুক্ষণ পর আবার ডায়াল করুন। আরশী মোবাইলটা বিছানার ওপর ছুঁড়ে দিল, তোমারই বা দোষ কী? তোমার সঙ্গে তো আমি নিজেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি, তুমিই বা নতুন

Posted in উপন্যাস

সেই ছেলেটি

শহরে মাইকিং হচ্ছে, একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি, একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি, সৌরভ নামে চৌদ্দ/পনেরো বছর বয়সের একটি ছেলে হারিয়ে গেছে, ছেলেটির গায়ের রং উজ্জ্বল শ্যামলা, লম্বা চার ফুট দশ ইঞ্চি, গালের ডান পাশে একটি কালো, বড় তিলক আছে। হারিয়ে যাওয়ার সময় ছেলেটির

Tagged with:
Posted in উপন্যাস

তবুও আমি তোমার

সবকিছু থেকেও রেজা সাহেবের যেন কিছু নেই, ঘরে সুন্দরী স্ত্রী আছে, গাড়ি আছে, আলীশান শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসায় বসবাস করেন, বিলাসবহুল জীবন-যাপন করেন। সবকিছু থাকার মধ্যেও যেন তাঁর মনে সুখ নেই। এত অর্থ বিত্তের মধ্যে তাঁর মন সব সময় একটা অভাব

Posted in উপন্যাস

দুর্নীতিবাজের ডায়েরি

নীলার বান্ধবী বৃষ্টি। শুধু বান্ধবী বললে ভুল হবে একেবারে ঘনিষ্ঠ বান্ধবী, দু’জনের মধ্যে যেন আত্মার সম্পর্ক। ক্লাস ফাইভ পাস করার পর নীলা যখন চক ময়রাম হাই স্কুলে ভর্তি হয়েছিল তখন দু’জনের মধ্যে প্রথম পরিচয়। তারপর থেকে এক সঙ্গে এইচ.এস.সি পর্যন্ত

Posted in উপন্যাস

আঁচলে…

বিদ্যার কমতি থাকলেও বুদ্ধির কমতি মোটেই নেই। সমস্ত কিছুতেই যেন সে রাম বলতেই রহিম বুঝতে পারে। মেধা থাকা সত্ত্বেও সে উকিল হতে পারেনি বটে কিন্তু মহুরি হিসাবে অতি অল্প বয়সে সে যেন সমস্ত মহুরির ওস্তাদের স্থান দখল করেছে। ঊর্মির চরে

Posted in উপন্যাস

স্বপ্ন

     স্বপ্ন পার্কের গেট দিয়ে ঢুকতেই দু’জনের হাত এক হয়ে মিশে গেল, তারপর হাঁটতে হাঁটতে একটি গাছের নিচে গিয়ে বসল। মাহমুদ মুক্তির হাতে হালকা চাপ দিয়ে বলল, তোমার কি আমাদের প্রথম পরিচয়ের কথা মনে পড়ে? তুমি বার বার করে আমার

Posted in উপন্যাস

বন্ধন

বিমান থেকে নেমে আকাশের দিকে তাকিয়ে ইকবাল দীর্ঘ নিঃশ্বাস টেনে বলল, সুখ, বুক ভরা সুখ। তারপর দূরে দিগন্ত বরাবর অনেকক্ষণ অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। আজ অনেক বছর পর নিজের জন্মভূমিকে সে যেন নতুনভাবে আবিষ্কার করল। বারো বছর আগে উচ্চ শিক্ষার্থে

Posted in উপন্যাস

অবশেষে…

অবশেষে…   বিয়ের ধুমধাম আয়োজন চলছে। কিছুক্ষণ আগে রুমীর বান্ধবী বরযাত্রীদের গাড়ি গেটের কাছে আসার খবর জানাল। বাইরের আনন্দ উল্লাস যেন রুমীর হৃদয় ভেঙে চুরমার করে দিচ্ছে। তার অন্তরে তখন সোহেলের স্মৃতিগুলো ভেসে উঠছে, সোহেল ব্যবসার কাজে ঢাকা গেছে, ফিরতে

Posted in উপন্যাস

ভ্যালেন্টাইন্‌স ডে

ভ্যালেনটাইনস ডে   নিত্যদিনের মতো পলাশ কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিল হঠাৎ আকাশটা মেঘে ঢেকে গেল। আরো প্রায় এক কিলোমিটার দূরে বিঞ্চুপুর গ্রাম। পলাশ সজোরে সাইকেল চালিয়ে বিঞ্চুপুর গ্রামের কাছে আসতেই প্রচণ্ড বৃষ্টি শুরু হলো। পলাশ কোন রকমে রাস্তার পাশে একটা

Posted in উপন্যাস