এখন রাত্রী বারোটা বাজে
আকাশের ভাঙ্গা চাঁদ খানার বিদ্রুপের হাসি
আমার ঘুমন্ত চোখে হানছে তীরের আঘাত
তারি বিষাক্ত আঘাতে ভেঙ্গে গেল ঘুম।
দক্ষিণা বাতাস রুদ্ধ জানালার ফাঁক দিয়ে
ক্ষণিক আগেই ফেলেছে দীর্ঘশ্বাস
হৃদয়ে জাগিয়েছে অতীতের স্মৃতি।
একাকী বিছানায় আমি করি এপাশ-ওপাশ
মরুভুমির উত্তপ্ত বালুকার মতো বিছানা
প্রতিটি মুহূর্ত যেন একেকটি শতাব্দী।
তোমারও আকাশে কি একই চাঁদ আছে জেগে?
নাকি রুপালী চাঁদের আলো নেমে এসেছে তোমার হাতের কাছে
কুয়াশার সাথে জোৎস্নার নিবীড়তা
সবুজ ধান ক্ষেতে লুকোচুরি খেলার মতো
দু’টি হৃদয়ের নিবিড়ভাবে মিশে যাওয়া
আকাশের ওপর আকাশ?
তোমার বাতায়নেও কি বাতাসের দীর্ঘশ্বাস?
নাকি বকুলের সুবাস?
নাকি শীতাতপ ঘরে কৃত্রিম সৌরভ?
হৃদয়ে স্মৃতির দাবানল জ্বালিয়ে,
নিজের ইচ্ছা-অনিচ্ছা শোকেজে বন্দী রেখে
কৃত্রিম চুম্বনের বন্যায় গিয়েছে ডুবে?
তবে কেমন আছ তুমি?
সমাপ্ত।
Leave a Reply