তুমি কাশফুল চেয়েছিলে

তুমি কাশফুল চেয়েছিলে

চেয়েছিলে একটা নদী

নদীর ধারে আমার বুকের মতন সাদা কাশফুল

একাকার হয়ে মিশে যাবে তুমি

কাশফুলে লুকাবে মুখ

ভুলে যাবে হৃদয়ের যত জ্বালা-যন্ত্রণা।

 

তুমি এলে গোধূলি লগ্নে,

নদীর তীরে লুটিয়ে পড়লো গোধূলির লাল আভা

আমি তন্ময় হয়ে চেয়ে রইলাম

তুমি আমার কাশফুলে মাথা রাখলে

আমি বুকে জড়িয়ে ধরলাম তোমায়

কতক্ষণ,

কতক্ষণ মনে নেই,

আবেগের সময়জ্ঞান নেই,

লাজ-লজ্জা নেই

আছে শুধু কাছে পাবার,

নিবীড়ভাবে আরো কাছে পাবার কামনা।

 

গোধূলি বিদায় হলো,

আকাশের চাঁদ নেমে এলো তোমার চাঁদ মুখে,

কাশফুলে,

স্রোতস্বীনিতে।

একটা ঢেউ খেলে গেলো ছলাৎ করে

আমাদের নিবীড়ভাবে একাকার হয়ে মিশে যাওয়া শরীর

আবেগে শীৎকার দিলো।

 

তুমি লজ্জায় কাশফুল থেকে মাথা তুলে তাকালে চাঁদের আলোয়,

এক পা,

দু’পা করে সরে গেলে তুমি,

আমি তাকিয়ে রইলাম,

আমার চিরচেনা তুমি,

গাঢ় অন্ধকারে,

বাতাসের ঘ্রাণ থেকে,

খুঁজে পেয়েছি তোমায় আমি,

তাই হারানো ভয় কোনোদিন পাইনি আমি।

অথচ আজ চাঁদের আলোয় হারালে তুমি

আজো খুঁজি তাই তোমায়

কাশফুলে, স্রোতস্বীনিতে, চাঁদের আলোয়।

সমাপ্ত।

Facebook Twitter Email

চোখের সামনে যেকোন অসঙ্গতি মনের মধ্যে দাগ কাটতো, কিশোর মন প্রতিবাদী হয়ে উঠতো। তার বহিঃপ্রকাশ ঘটতো কবিতা লেখার মধ্য দিয়ে। ক্ষুধা ও দারিদ্রের বিরুদ্ধে, নির্যাতন ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কবিতা। কবিতার পাশাপাশি সামাজিক অসঙ্গতি নিয়ে শুরু হলো ছোটগল্প, উপন্যাস লেখা। একে একে প্রকাশিত হতে থাকলো কাব্যগ্রন্থ, উপন্যাস। প্রকাশিত হলো অমর একুশে বইমেলা-২০২০ পর্যন্ত ০১টি কাব্যগ্রন্থ, ১৪ টি উপন্যাস, ০৪ টি কিশোর উপন্যাস, ০১ টি গল্পগ্রন্থ এবং ০১ টি ধারাবাহিক উপন্যাসের ০৩ খণ্ড। গ্রন্থ আকারে প্রকাশের পাশাপাশি লেখা ছড়িয়ে পড়লো অনলাইনেও। লেখার শ্লোগানের মতো প্রতিটি উপন্যাসই যেন সামাজিক অবস্থার প্রতিচ্ছবি।

Posted in কবিতা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*