হঠাৎ বিয়ে

আইবুড়োটা গোঁ ধরেছে করবে এবার বিয়ে,

আজকালের মধ্যে তার চাই যে একটা মেয়ে।

কেউবা গেল উত্তরে আর কেউবা দক্ষিণে,

কেউবা গেল পূর্ব দিকে কেউবা পশ্চিমে।

মেয়ে কী আর দই সন্দেশ চাইলে পাওয়া যায়?

বিয়ে তো নয় পুতুল খেলা হঠাৎ করা যায়।

দিনের শেষে ক্লান্ত সবাই ফেলে দীর্ঘশ্বাস,

বউ পাওয়া যে এত কঠিন হয়নি তো বিশ্বাস।

আর একদিনের মধ্যে তাকে দিতে হবে বিয়ে,

নইলে যে সে প্রাণ হারাবে গলায় রশি দিয়ে।

সারাটা দিন ঘুরে শেষে পেল একটা মেয়ে,

বয়সে যে সে অনেক ছোট আইবুড়োটার চেয়ে।

মুখ যেন তার গোলগাল বেজায় চাপা নাক,

গলাটি তার বকের মতো হাতির মতো দাঁত।

বাপে রাজি, মায়ে রাজি, পড়শিরা সব রাজি,

অল্প বয়সে বিয়ে বসতে কনেতো নয় রাজি।

সবই শুনে আইবুড়ো কয় তাতে ক্ষতি কী?

পিছন থেকে কনের বোনে বলবে আমি রাজি।

আইবুড়োট আর বরযাত্রীরা করতে গেল বিয়ে,

অরাজিতে কনে বেচারির হলো হঠাৎ বিয়ে।

সমাপ্ত।

Facebook Twitter Email

চোখের সামনে যেকোন অসঙ্গতি মনের মধ্যে দাগ কাটতো, কিশোর মন প্রতিবাদী হয়ে উঠতো। তার বহিঃপ্রকাশ ঘটতো কবিতা লেখার মধ্য দিয়ে। ক্ষুধা ও দারিদ্রের বিরুদ্ধে, নির্যাতন ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কবিতা। কবিতার পাশাপাশি সামাজিক অসঙ্গতি নিয়ে শুরু হলো ছোটগল্প, উপন্যাস লেখা। একে একে প্রকাশিত হতে থাকলো কাব্যগ্রন্থ, উপন্যাস। প্রকাশিত হলো অমর একুশে বইমেলা-২০২০ পর্যন্ত ০১টি কাব্যগ্রন্থ, ১৪ টি উপন্যাস, ০৪ টি কিশোর উপন্যাস, ০১ টি গল্পগ্রন্থ এবং ০১ টি ধারাবাহিক উপন্যাসের ০৩ খণ্ড। গ্রন্থ আকারে প্রকাশের পাশাপাশি লেখা ছড়িয়ে পড়লো অনলাইনেও। লেখার শ্লোগানের মতো প্রতিটি উপন্যাসই যেন সামাজিক অবস্থার প্রতিচ্ছবি।

Posted in কবিতা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*