খুঁজে ফিরি তারে

আরশী মোবাইলের বাটন টিপলো, দুঃখিত এই মুহূর্তে মোবাইল সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, অনুগ্রহপূর্বক কিছুক্ষণ পর আবার ডায়াল করুন।

আরশী মোবাইলটা বিছানার ওপর ছুঁড়ে দিল, তোমারই বা দোষ কী? তোমার সঙ্গে তো আমি নিজেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি, তুমিই বা নতুন করে সংযোগ দিবে কেন? তুমি কোথায় ফিরোজ? কতদিন থেকে তোমাকে খুঁজছি, কতবার তোমার মোবাইলে রিং দিয়েছি, কোনদিন তোমাকে খুঁজে পেলাম না। তোমাকে আমার খুব প্রয়োজন, তুমি আমাকে বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখাতে, তুমি বলতে আমি যেদিন প্রমোশন পেয়ে অফিসার হবো সেদিন তুমিই সবচেয়ে বেশি খুশি হবে। আমি প্রমোশন পেয়েছি ফিরোজ, আগামী মাসে আমার রেঙ্ক (Rank) লাগবে, তুমি দেখবে না?

লিজা রুমে ঢুকল, এই আরশী একটা খবর শুনেছিস?

কী খবর?

আমাদের আগামী মাসের পঁচিশ তারিখে রেঙ্ক (Rank) পরানো হবে।

আরশীর দু’চোখ ছলছল করে উঠল, সে আপন মনে বিড় বিড় করে বলতে লাগল, আর শুধু মনে মনে বা মোবাইলে খুঁজলে হবে না, আমি কাল থেকে সশরীরে তোমাকে খুঁজতে মাঠে নামবো, আমাকে রেঙ্ক পরতে দেখলে সবচেয়ে খুশি হতে তুমি, তুমি, তুমিই আমার সব ফিরোজ। আমি তোমাকে বাবার মতো শ্রদ্ধা করেছি, প্রেমিকের মতো ভালোবেসেছি, বন্ধুর মতো নির্ভর করেছি, তুমিই আমার সব ফিরোজ। যদি ফিরোজকে পেয়ে যাই, আমি যখন ওর সামনে গিয়ে দাঁড়াবো তখন ও যদি আমাকে তাড়িয়ে দেয়? আমার সঙ্গে সমস্ত সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে? যদি বলে তোমার সঙ্গে আমার কী সম্পর্ক আছে? আসলে আমার সঙ্গে ওর সম্পর্কটা আত্মার, আইন বা সমাজের কাছে যার কোন মূল্য নেই, কোন কোন ক্ষেত্রে অপরাধও।

লিজা জিজ্ঞেস করল, এই আরশী তুই কি ঘুমাচ্ছিস নাকি?

না রে।

তবে চুপ করে আছিস কেন? কথা বল?

না রে মনটা ভালো নেই।

কেন? হঠাৎ করে আবার কার কথা মনে পড়ল?

লিজা তুই তো জানিস, পৃথিবীতে আমার একজনই ছিল, সে চলে গেছে তারপর থেকে আমার আমার কেউ নেই, কেউ আসবেও না।

যদি কেউ আসে?

বললাম তো আসবে না, কোনদিন দেখেছিস কেউ আমার খোঁজ নিতে এসেছে? আমার মোবাইলের রিং কখনো কখনো বেজে ওঠে রিসিভ করলেই অনেক যন্ত্রণা, বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তাব, প্রেম করার প্রস্তাব, বিয়ে করার প্রস্তাব, অনেক আকর্ষণীয় প্রস্তাব কিন্তু আমি কারো প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছি?

লিজা বলল, সবগুলোই তো জীবনের জন্য প্রয়োজন, তো অসুবিধা কি? তুই একটা অবিবাহিতা মেয়ে, চেহারা সুন্দর, তাই তোর মোবাইলে ফোন আসে। আমি তোর মতো সুন্দর না, তারপরও বিয়ের আগে আমার অনেক ফোন আসতো, আকর্ষণীয় প্রস্তাব পেতাম, বিয়ের পরও মাঝে মাঝে ফোন আসতো হয়ত কেউ কেউ অবিবাহিতা মনে করতো, এনিয়ে তোর দুলাভাইর সঙ্গে মাঝে মাঝে ভুল বোঝাবুঝি হতো। আমার বিয়ের খবরটা জানাজানির পর আর তেমন ফোন আসে না।

আরশী একটা শুষ্ক হাসি হেসে বলল, তাহলে কি আমিও সবাইকে জানিয়ে দিব নাকি যে আমার বিয়ে হয়েছে, তাহলে অন্তত: বাড়তি ফোনের ঝামেলা থেকে বেঁচে যেতাম।

বিয়ে না করেই সবাইকে বিয়ে হয়েছে বলবি? তারচেয়ে বিয়ে করে ফেললেই তো হয়?

ইচ্ছা করলেই কি যাকে তাকে বিয়ে করা যায়?

তা অবশ্য ঠিক, তাতে যন্ত্রণা বেড়ে যেতে পারে।

সেই যন্ত্রণার চেয়ে এই যন্ত্রণাই ভালো।

আচ্ছা আরশী তুই না কাকে যেন ভালোবাসতিস, আমাদের ডিপার্টমেন্টেরই কী নাম যেন?

আরশীর মনটা ঘৃণায় ভরে গেল। কারণ যে তার সঙ্গে প্রতারণা করেছে সে আর কোনদিন তার নাম মুখে আনতে চায়নি, তার কথা মনে করতে চায়নি। আজ লিজা সেই প্রতারকের নামটা তাকে স্মরণ করে দিল, সেই প্রতারকের জন্যই ফিরোজের সঙ্গে তার দূরত্ব বেড়ে গিয়েছিল, আরশী ফিরোজকে অপমান করেছিল।

আরশী কিছুটা রাগান্বিত স্বরে বলল, লিজা তুই তো সবই জানিস তারওপর আমি যার নাম জীবনে মুখে আনতে চাই না তার কথা স্মরণ করে দিচ্ছিস কেন?

আরশী হঠাৎ করে মুখে চলে এলো তাই বললাম, আমি তোকে কষ্ট দেয়ার জন্য বলিনি।

 

ট্রেনিং শেষে আরশীর প্রথম পোস্টিং হয় রাজশাহী জেলার বাঘমারা থানায়। আরশী ট্রেনিং সেন্টারে থাকতেই ফিরোজ তাকে একটা মোবাইল সেট কিনে দিয়েছিল। আরশীর মোবাইলে শুধুমাত্র তার বাবা-মা, দুলাভাই-আপা আর ফিরোজ মোবাইল করতো। তাছাড়া সারাদিন মোবাইলে তেমন কারো কল আসতো না, নতুন মোবাইল ফোন হাতে পাওয়ায় আরশীর মোবাইলে কথা বলার আগ্রহ ছিল বেশি। তাই কোন মোবাইল থেকে একটা মিস কল এলে সে যেন নিজেই উৎসাহী হয়ে বার বার মিস কল দিত।

আরশীর সেই অতি উৎসাহী আচরণটা ফিরোজের একেবারেই পছন্দ না। সে আরশীর মোবাইল ব্যস্ত দেখলেই রেগে যেত।

 

আমাদের দেশের সমাজ ব্যবস্থায় মহিলাদের সবাই গৃহিণী কিংবা সাধারণ কোন পেশা যেমন শিক্ষকতার মতো পেশায় কাজ করতে দেখে অভ্যস্ত। যখন কেউ একজন মহিলা পুলিশকে রাস্তায় ডিউটি করতে দেখে তখন অনেকেই একটু কৌতূহলী হয়ে তাকিয়ে থাকে। কথা বলার অজুহাত খুঁজে, আগ বাড়িয়ে উপকার করার জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়, সহানুভূতি দেখায়। এটা শুধু অফিসের বাইরেই নয়, ডিপার্টমেন্টের অনেকেই এখনো মেয়েদের প্রতি সাধারণ মানুষের মতোই।

মহিলা পুলিশের সংখ্যা অনেক কম। এই কোর্টে যেসব মহিলা পুলিশ আসামী নিয়ে আসে তাদের সবার নাম যেন সবার মুখস্থ। কোন কাজে কারো কাছে গেলেই যেন সহজে নাম ধরে ডাকে। এমনি অবস্থায় ডিউটি করতে করতে আরশীর অনেকের সাথে পরিচয় হয়েছিল তাদের মধ্যে একজন পুলিশ কনস্টেবল এর সাথে আরশীর একটা সুন্দর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।

প্রায়ই রাতেই আরশী তার সেই বন্ধুর সঙ্গে দীর্ঘ সময় মোবাইলে কথা বলতো। আরশীর মোবাইল দীর্ঘ সময় ব্যস্ত দেখে ফিরোজ মোবাইলে বকাবকি করতো, আরশী তুমি রাতে মোবাইলে কার সঙ্গে এত কথা বলো?

বাঃ আমি এখন চাকরি করছি, ছাত্র জীবনের অনেক বন্ধু, চাকরি জীবনের কলিগ সবার সঙ্গে কথা বলি।

আরশী, বন্ধু বা কলিগের সঙ্গে কি কারো প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা কি আলাপ থাকতে পারে?

দেখ আমি এখন চাকরি করছি, আমার ভালো-মন্দ নিজে বোঝার আমার বয়স হয়েছে, আমার ভবিষ্যতটা তুমি আমাকে বুঝতে দাও।

বাঃ আরশী তুমি তো খুব সুন্দর যুক্তি তৈরি করেছ।

তুমি কিছু মনে করলে নাকি?

না আমি তোমার কে? তোমার মোবাইল ব্যস্ত দেখলে আমি রাগ করবো কেন? বলে ফিরোজ মোবাইল রেখে দিয়েছিল।

পরদিন সকালবেলা আরশীই প্রথম মোবাইল করেছিল, হ্যালো।

ফিরোজ রিসিভ করেছিল, হ্যালো আরশী।

শোনো তুমি বোধ হয় আমার কথায় কিছু মনে করেছ, আসলে বাড়ি থেকে আপা মোবাইল করেছিল।

কাল না তুমি বললে, তোমার কলিগ মোবাইল করেছে?

আমি তোমাকে ক্ষেপানোর জন্য বলেছিলাম, আসলে তুমি ছাড়া আমার আর কে আছে বলো? আমি তোমাকে বলেছি না আমাকে সন্দেহ করবে না, তুমি যেভাবে চলতে বলেছ আমি সেভাবেই চলবো।

আরশী আমি এখন কাজে ব্যস্ত আছি সুযোগ হলে পরে তোমাকে রিং দিব।

আচ্ছা শোনো, আমার মোবাইলে টাকা নাই, এক’শ টাকা রিচার্জ করে দাও তো।

আরশী তোমার মোবাইলে না কালকেই এক’শ টাকা দিয়েছি?

হ্যাঁ, খরচ হয়ে গেছে, বললাম না আপার সঙ্গে কথা বলেছি, আমার এক বান্ধবীর সঙ্গে কথা বলেছি, তাই সব টাকা শেষ হয়ে গেছে, তুমি না দিতে চাইলে থাক।

তুমি রাগ করলে, আচ্ছা আমি পাঠিয়ে দিচ্ছি।

ফিরোজ কয়েক মিনিটের মধ্যে আরশীর মোবাইলে এক’শ টাকা রিচার্জ করে দিয়েছিল।

এমনভাবে আরশী যখন যা চাইতো তাই যেন আলাদীনের চেরাগের মতো ফিরোজ তার হাতে পৌঁছে দিত। মাঝে মাঝে রাজশাহী চলে আসতো, তারপর আরশীকে সঙ্গে নিয়ে কেনা-কাটা করতো, ঘুরে বেড়াতো একেবারে পঁচিশ বছরের যুবকের মতো। আরশীর বেলায় ফিরোজের বাজেটের কোন কমতি ছিল না। আরশী আঙ্গুল দিয়ে যে কাপড়টা দেখিয়ে দিত ফিরোজ সেটাই কিনে দিত, যখন যা খেতে চাইতো তাই খাওয়াতো।

 

যে ছেলেটির সঙ্গে আরশীর সবচেয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তার নাম নূর। পুরো নাম নূর আলম। গায়ের রং ফর্সা, স্মার্ট, বাচনভঙ্গি সুন্দর, খুব সহজে দৃষ্টি কাড়ার মতো।

প্রায় দিন অফিসের কাজ শেষে সুযোগ হলে আরশী আর নূর কোথাও আড্ডা দিত, অফিস বন্ধের দিন হলে দু’জনে পদ্মার পাড়ে ঘুরে বেড়াতো। একদিন আরশী আর নূর পদ্মার পাড়ে বেড়াতে গিয়েছিল। এমন সময় ফিরোজ মোবাইল করেছিল, হ্যালো আরশী।

হ্যাঁ বলো।

আরশী তুমি এখন কোথায়?

পদ্মার পাড়ে।

কেন? কার সাথে?

আমার এক কলিগসহ বেড়াতে এসেছি।

ফিরোজ বিশ্বাস করেনি, সে হাসতে হাসতে বলেছিল, আমার সঙ্গে ইয়ার্কি করছ, না?

নূর জিজ্ঞেস করেছিল, কে আরশী?

তোমাকে বলেছিলাম না, আমাদের ভাড়াটে।

তোমাকে কেন মোবাইল করেছে?

এমনিতেই মাঝে মাঝে মোবাইল করে আমার খোঁজ-খবর নেয়।

তোমার খোঁজ নেয় কেন?

এমনিতেই।

আরশী সহজভাবে বললেও নূর তার কথাটা সহজভাবে গ্রহণ করেনি। তার মনে একটা সন্দেহ বাসা বেঁধেছিল। সে আরশীর দিকে বাঁকা দৃষ্টিতে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করেছিল, তোমাদের আত্মীয়?

না কিন্তু আত্মীয়ের চেয়ে বেশি।

কী নাম ভদ্র লোকের?

ফিরোজ।

ফিরোজের কি শুধু তোমার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক নাকি তোমাদের বাড়ির সবার সঙ্গে?

তুমি সন্দেহ করছ?

না ঠিক সন্দেহ করছি না।

তবে শোনো ফিরোজ একজন বয়স্ক মানুষ, একটা মেয়ে আছে বুঝলে।

নূর এর মুখ থেকে সন্দেহের মেঘটা যেন কিছুটা সরে গিয়েছিল, তুমি কিছু মনে করলে নাকি?

না।

 

ফিরোজ আমাকে নিজের মেয়ে রিমার মতো স্নেহ করতো, বন্ধুর মতো ভালোবাসতো। আমার যে কোন প্রয়োজনে ঝাঁপিয়ে পড়তো। যেসব বিষয়ে আমি আমার বাবা-মা, বোন-দুলাভাই সবার সঙ্গে কথা বলে কোন সিদ্ধান্ত বা সহযোগিতা পেতাম না সেসব বিষয়ে ফিরোজ আমাকে সুন্দর সমাধান দিত, প্রয়োজনে টাকাও দিত। ফিরোজ বলতো তুমি যেদিন প্রমোশন পাবে সেদিন আমি মনে করবো তোমার জন্য আমার মেধা, অর্থ এবং শ্রম সার্থক হয়েছে।

হ্যাঁ ফিরোজ আমি প্রমোশন পাচ্ছি, তোমার মেধা, অর্থ এবং শ্রম সব সার্থক হয়েছে, তুমি একবার তোমার মোবাইলটা চালু করো, আমি তোমার জন্য সেই সিম কার্ডটাই রেখেছি, কই তুমি তো কোনদিন মোবাইল করলে না? তুমি না বলতে রাগ কখনো মানুষের জীবনে ভালো ফল বয়ে আনতে পারে না। তবে তুমি আমার ওপর রাগ করে আছ কেন? তুমি বিশ্বাস করো সেদিনের ঘটনার জন্য আমার কোন দোষ নেই। আমি জানি আমার জন্য তোমার এবং আমার দু’জনের জীবনে যে ক্ষতি হয়েছে তা কোনদিন পূরণ হবার নয়, তুমি বিশ্বাস করো আমার কোন দোষ ছিল না। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।

আরশী পাশ ফিরে শুয়ে চোখ বন্ধ করে ঘুমানোর চেষ্টা করল।

না আরশীর চোখে ঘুম নেই, একটা অপরাধবোধ তাকে তাড়া করছে। তার জীবনে ফিরোজের অবদানের কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। আসলে আইন-আদালত মানুষকে যে শাস্তি দেয় তা সবার চোখে পড়ে, অপরাধীকে সবাই ঘৃণা করে কিন্তু বিবেকের দেয়া শাস্তি লোক-চক্ষুর আড়ালে অপরাধীকে দিন-রাত যে শাস্তি দেয় তা কারো চোখে পড়ে না ঠিকই কিন্তু অপরাধীর হৃদয়কে সব সময় দগ্ধ করে। এই দুই শাস্তির মধ্যে কোন শাস্তি বেশি জ্বালাময়ী তা শুধু ভুক্তভোগী মাত্রই অনুভব করে। আরশী আর একদিনও বিবেকের শাস্তি ভোগ করতে চায় না। সে আপন মনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করে, আমি তোমাকে খুঁজে বের করবো ফিরোজ, কিন্তু কীভাবে? তোমার কথা তো আমি কাউকে বলতেও পারবো না, তোমাকে আমার খুঁজে বের করতে হবে, আমার বিবেকের কাছে আমি আর অপরাধী হয়ে থাকতে পারবো না।

চলবে…

এই উপন্যাসটি পেতে আসুন: নওরোজ কিতাবিস্তান, স্টল না্ম্বার ১৭২-১৭৩, অমর একুশে বইমেলা।

Facebook Twitter Email

চোখের সামনে যেকোন অসঙ্গতি মনের মধ্যে দাগ কাটতো, কিশোর মন প্রতিবাদী হয়ে উঠতো। তার বহিঃপ্রকাশ ঘটতো কবিতা লেখার মধ্য দিয়ে। ক্ষুধা ও দারিদ্রের বিরুদ্ধে, নির্যাতন ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কবিতা। কবিতার পাশাপাশি সামাজিক অসঙ্গতি নিয়ে শুরু হলো ছোটগল্প, উপন্যাস লেখা। একে একে প্রকাশিত হতে থাকলো কাব্যগ্রন্থ, উপন্যাস। প্রকাশিত হলো অমর একুশে বইমেলা-২০২০ পর্যন্ত ০১টি কাব্যগ্রন্থ, ১৪ টি উপন্যাস, ০৪ টি কিশোর উপন্যাস, ০১ টি গল্পগ্রন্থ এবং ০১ টি ধারাবাহিক উপন্যাসের ০৩ খণ্ড। গ্রন্থ আকারে প্রকাশের পাশাপাশি লেখা ছড়িয়ে পড়লো অনলাইনেও। লেখার শ্লোগানের মতো প্রতিটি উপন্যাসই যেন সামাজিক অবস্থার প্রতিচ্ছবি।

Posted in উপন্যাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*