হৃদয় ছুঁতে পারলাম না

হৃদয় ছুঁতে পারলাম না

সাত বছরের প্রেম,

সতেরো বছরের দাম্পত্য কেটে গেলো একসাথে

তবু তোমার হৃদয় ছুঁতে পারলাম না।

 

চব্বিশ বছর কেটে গেলো

আমাদের একসাথে পথচলা,

একই ছাতার নিচে বৃষ্টি আড়াল করা,

পাশাপাশি বসে,

হাতে হাত রেখে,

চোখে চোখ রেখে স্বপ্নে বিভোর হওয়া,

একই আকাশের নিচে দু’জনে পূর্ণিমার চাঁদ দেখা,

চাঁদের দিক থেকে চোখ ফেরালে তুমি,

আমার মুখে দেখলে পূর্ণিমার চাঁদ,

অথচ দেখো কী দূর্ভাগ্য আমার

আকাশের চাঁদ দেখলে আমাতে

আমার হৃদয়টাই শুধু দেখলে না।

 

গভীর রাত,

আমরা দু’টি মানব-মানবী জেগে,

আমাদের দু’টি সত্ত্বা,

একাকার কেটেছে কত শত রাত,

আমাদের হৃদস্পন্দন গেছে একাকার হয়ে মিশে,

অক্টোপাশের মতো জড়িয়ে রেখেছ আমায় তোমার বাহুবন্ধনে,

সুখের যন্ত্রণায় কাতর হয়ে দিয়েছ শীৎকার

’’ভালোবাসি, ভালোবাসি’’।

 

আমি তোমার বুকে গুঁজেছি মুখ,

শুধু তোমারই মাঝে খুঁজেছি সুখ,

তোমার হৃদয়ের গভীর সমুদ্রে হারিয়ে গেছি আমি,

কোথাও পাইনি তল,

কোথাও পাইনি নিজেকে খুঁজে,

হৃদয় ছোঁয়া ছাড়া সুখ কি কোথাও পাওয়া যায় খুঁজে।

 

শরীর স্পর্শ করা যৎসামান্যই বটে

হৃদয় ছুঁয়ে দেখা কারো কারো জীবনে ঘটে

আমরা দু’জন সারাটি জীবন শরীর ছুঁয়েছি অবিরত

কিন্তু হায়!

চব্বিশ বছরেও তোমার হৃদয় ছুঁতে পারলাম না।

সমাপ্ত।

Facebook Twitter Email

চোখের সামনে যেকোন অসঙ্গতি মনের মধ্যে দাগ কাটতো, কিশোর মন প্রতিবাদী হয়ে উঠতো। তার বহিঃপ্রকাশ ঘটতো কবিতা লেখার মধ্য দিয়ে। ক্ষুধা ও দারিদ্রের বিরুদ্ধে, নির্যাতন ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কবিতা। কবিতার পাশাপাশি সামাজিক অসঙ্গতি নিয়ে শুরু হলো ছোটগল্প, উপন্যাস লেখা। একে একে প্রকাশিত হতে থাকলো কাব্যগ্রন্থ, উপন্যাস। প্রকাশিত হলো অমর একুশে বইমেলা-২০২০ পর্যন্ত ০১টি কাব্যগ্রন্থ, ১৪ টি উপন্যাস, ০৪ টি কিশোর উপন্যাস, ০১ টি গল্পগ্রন্থ এবং ০১ টি ধারাবাহিক উপন্যাসের ০৩ খণ্ড। গ্রন্থ আকারে প্রকাশের পাশাপাশি লেখা ছড়িয়ে পড়লো অনলাইনেও। লেখার শ্লোগানের মতো প্রতিটি উপন্যাসই যেন সামাজিক অবস্থার প্রতিচ্ছবি।

Posted in কবিতা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*