সবুজ বাতি

সবুজ বাতি, ও সবুজ, বাতি কতা কও না কেন?

এতো ডাকি তবু তুমি সাড়া দাও না কেন?

সকাল হলে শুভ সকাল বলে তোমায় ডাকি,

দুপুর হয় তবুও তুমি দাও যে আমায় ফাঁকি।

বিকেলবেলা চেয়ে থাকি গোধূলি দেখবো বলে,

বিকেল গেলো, সন্ধ্যা গেলো সব যে গেলো ছলে।

গভীর রাতে চেয়ে থাকি সবুজ বাতির পানে,

কখন তুমি বলবে কতা ঘুম নেই নয়নে।

 

সবুজ বাতি, ও সবুজ বাতি, কতা কও না কেন?

দিবানিশি এতো ডাকি সাড়া দাও না কেন?

সেই যে তুমি কাছে এলে আমায় দিলে ফুল,

তোমায় ভালোবাসা কি তবে ছিল আমার ভুল?

বকুলতলা পাশে বসে দেখলাম কত স্বপন,

মিঠা মিঠা কতা কয়া কাইড়া নিলা মন।

শরীর ছুঁয়ে শপথ নিলাম রবো পাশাপাশি,

এখন তুমি চলে গেলে গলায় দিমু ফাঁসি।

 

সবুজ বাতি, ও সবুজ বাতি, কতা কও না কেন?

আমার মনের কান্না তুমি শুনতে পাও না কেন?

সবুজ বাতি আমি এখনো তোমার কতা ভাবি,

যদিও এখন তোমার ওপর নেইকো কোনো দাবি।

হঠাৎ দেখি সবুজ বাতি জ্বলে না তো আর,

বুক যে উঠলো ধক করে ছিঁড়লো বুঝি তার।

তার ছিঁড়েছে সেই যে কবে এবার নিভলো বাতি,

ম্যাসেঞ্জারও ব্লক হলো ছিঁড়লো বুকের ছাতি।

 

সবুজ বাতি, ও সবুজ বাতি, কতা কও না কেন?

আমার কতা না শুনেই তুমি নিভে গেলে কেন?

টাইম লাইনেতে গিয়ে দেখি প্রফাইল তোমার লক,

তোমার খবর জানার আমার নেই কি কোনো হক?

ছটফটাইয়া মরি আমি তুমি বুঝি পাও সুখ,

আমরা বুঝি কেউবা কারো দেখবো নাকো মুখ।

জীবনের এই রঙ-তামাশা থাকবে নাকো চিরদিন,

সেদিন বুঝবে আমার কাছে কত তোমার ঋৃণ।

 

প্রতিটি দিন, প্রতিটি ক্ষণ আমায় পড়বে মনে,

আমার ঋৃণ শোধ করবে তুমি প্রতি ক্ষণে ক্ষণে।

আমার মতো ছটফটিয়ে আমায় খুঁজবে তুমি,

এমন অভিশাপ কোনোদিনও দিবো না তো আমি।

কে বা আগে কে বা পরে চলে যাবো ওপারে,

ব্লক না করলে তবে জানতাম আগে পরে।

ভালোই হলো শেষটা তবে এমনি করেই যাই,

আজ থেকে জেনো তবে আমিও আর নেই।

সমাপ্ত।

Facebook Twitter Email

চোখের সামনে যেকোন অসঙ্গতি মনের মধ্যে দাগ কাটতো, কিশোর মন প্রতিবাদী হয়ে উঠতো। তার বহিঃপ্রকাশ ঘটতো কবিতা লেখার মধ্য দিয়ে। ক্ষুধা ও দারিদ্রের বিরুদ্ধে, নির্যাতন ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কবিতা। কবিতার পাশাপাশি সামাজিক অসঙ্গতি নিয়ে শুরু হলো ছোটগল্প, উপন্যাস লেখা। একে একে প্রকাশিত হতে থাকলো কাব্যগ্রন্থ, উপন্যাস। প্রকাশিত হলো অমর একুশে বইমেলা-২০২০ পর্যন্ত ০১টি কাব্যগ্রন্থ, ১৪ টি উপন্যাস, ০৪ টি কিশোর উপন্যাস, ০১ টি গল্পগ্রন্থ এবং ০১ টি ধারাবাহিক উপন্যাসের ০৩ খণ্ড। গ্রন্থ আকারে প্রকাশের পাশাপাশি লেখা ছড়িয়ে পড়লো অনলাইনেও। লেখার শ্লোগানের মতো প্রতিটি উপন্যাসই যেন সামাজিক অবস্থার প্রতিচ্ছবি।

Posted in কবিতা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*