পিলার নাম্বার সেভেন

স্মৃতি কখনো পুরাতন হয় না, স্মৃতির ওপর কখনো ধুলোবালি জমে না, কখনো ক্ষয়ে যায় না, কখনো বিবর্ণ হয় না, কখনো ধূসরও হয় না। স্মৃতি চিরদিন হৃদয়ে অম্লান হয়ে থাকে। স্মৃতির বৈশিষ্ট্য হলো মনে করতে না চাইলেও হৃদয়ে ভেসে ওঠে, কোনো কোনো স্মৃতি মানুষ ভুলে যেতে চায়, হৃদয় থেকে মুছে ফেলতে চায় কিন্তু স্মৃতি তার আপন বৈশিষ্ট্যে হৃদয়ে অক্ষয় হয়ে থাকে। আশি বছর বয়সের কোনো বার্ধক্যগ্রস্থ বৃদ্ধের হৃদয়ে কলেজ জীবনের আঠারো উনিশ বছরের তরুণীর সাথে হৃদয়ের সম্পর্কটি আজও অম্লান।

দেখতে দেখতে সাত বছর পেরিয়ে আজ আট বছরে পা দিল অথচ নুশরাতের মনে হচ্ছে এই তো সেদিনের কথা দুজনে কত শত শত প্রতিশ্রুতি করেছে, কেউ কারো সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করবে না, কেউ অন্য কাউকে বিয়ে করবে না, প্রয়োজনে বিয়েই করবে না কিন্তু অন্য কাউকে না। যেসব প্রতিশ্রুতি একটিও কেউ রক্ষা করতে পারে নি, নুশরাতের মনে হচ্ছে প্রতিশ্রুতিগুলো এখনও ভাসছে শুধু প্রতিশ্রুতি দেয়া মানুষটি হারিয়ে গেছে। না, না হারিয়ে যায় নি, হারিয়ে যাওয়া মানুষ খুঁজে পাওয়া যায়, বদলে যাওয়া মানুষকে খুঁজে পাওয়া যায় না। মারুফেরই বা দোষ কী, নুশরাত নিজে কি বদলায় নি। বাবা-মা বিয়ে দিয়েছে, সেই স্বামীর সঙ্গেই তো দিব্যি সংসার করছে, তাদের সংসারে নুশরাতের কোল জুড়ে দুটো বাচ্চা হয়েছে, এক ছেলে, এক মেয়ে। দিন রাত নুশরাত তাদের নিয়েই ব্যস্ত কিন্তু শত ব্যস্ততার মাঝেও নুশরাতের সবসময় মারুফের কথা মনে পড়ে, শত সুখের মাঝেও মনে হয় কোথায় যেন একটা ঘাটতি আছে, এটাই সুখের অসুখ। যেটা নুশরাত না পারে কাউকে বলতে আর না পারে হৃদয় থেকে মুছতে।

বিয়ের পরও মারুফ তাকে বার বার ফোন করেছে, ফেসবুকের ইনবক্সে ম্যাসেজ করেছে। প্রথম প্রথম নুশরাত লুকিয়ে লুকিয়ে কথা বলতো, মারুফের ম্যাসেজের রিপ্লাই দিত। লুকিয়ে কথা বলতে গিয়ে যেদিন তার হ্যাজবেন্ড দেখে ফেলল, সেদিনই তার মোবাইলের সিমকার্ড চেঞ্জ করে দিল। তারপর থেকে নুশরাতের প্রতি কড়া নজর রাখল। একদিন নুশরাতের ম্যাসেজ করাও দেখে ফেলল আর সেদিনই নিজে নুশরাতের সেই আইডি ডিএক্টিভ করে দিল আর নুশরাতকে সাবধান করে দিল আবার যদি কোনদিন মারুফের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেখে তবে সে একটা হেস্তনেস্ত করেই ছাড়বে। সেদিন থেকে মারুফ আছে নুশরাতের হৃদয়ে স্মৃতি হয়ে, হৃদয়ে দগদগে দাগ হয়ে।

নুশরাতের সঙ্গে মারুফের পরিচয় হয় ভার্সিটিতে অ্যাডমিশন কোচিংয়ের সময়। দুজনে একই ব্যাচে কোচিং করতো, কোচিংয়ের পর ফার্মগেটে দুজনে কফি খেত, টুকটাক কেনাকাটা করতো, ক্লাসের ফাঁকে কিংবা যেদিন ক্লাস থাকতো না সেদিন ঘুরে বেড়াত। কোচিং শেষে শুরু হলো ভার্সিটিতে ভর্তি যুদ্ধ, আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হবে একেকটা ইউনিভার্সিটিতে একেক দিন ভর্তি পরীক্ষা। ভর্তি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে নুশরাত কিছুটা হতাশ হয়ে পড়ল।

মারুফ জিজ্ঞেস করল, এত চিন্তা করছ কেনো?

নুশরাত মলিন মুখে বলল, চিন্তার কী আর শেষ আছে। তুমি সবগুলো চিন্তার কথা বুঝবে না।

বুঝব না, বলে মারুফ অদ্ভুদ ভঙ্গিতে নুশরাতের চোখে চোখ রাখল, তারপর বলল, বলবো?

নুশরাত বলল, বলো।

দুজনে মুখোমুখি বসে রেস্টুরেন্টে কফি খেতে খেতে গল্প করছিল। রেস্টুরেন্টের পরিবেশটাও আলো ছায়া, মৃদু শব্দে বিদেশি গানের মিউজিক বাজছে, পাশাপাশি সিটগুলোর অধিকাংশই ফাঁকা। আধো-আলো ছায়ায় নুশরাতকে অপূর্ব লাগছে মারুফের।

মারুফ বলতে শুরু করল, এক, তুমি ভার্সিটিতে অ্যাডমিশন টেস্ট দিতে যেতে ভয় পাচ্ছ, ওকে?

নুশরাত মাথা নেড়ে সায় দিল।

মারুফ বলল, দুই, তোমার প্রস্তুতির ঘাটতি আছে বলে তুমি মনে করছ। ওকে?

হ্যাঁ।

মারুফ বলল, কিন্তু এগুলো চিন্তার কিছু না, আমরা যারা একসাথে কোচিং করেছি তারা সবাই তো দলবেঁধে যাবো, তাছাড়া আমি তো আছিই। আর প্রস্তুতির কথা বলছ, তুমি আমি যেভাবে লেখাপড়া করেছি সবাই আমাদের মতই করেছে, এত চিন্তার কী আছে।

নুশরাত শুষ্ক কণ্ঠে বলল, তোমার বলা শেষ!

মারুফ খুব স্বাভাবিকভাবে বলল, হ্যাঁ।

মারুফ তুমি আসল কারণটাই বলতে পার নি।

মারুফ চমকে উঠল, মানে?

নুশরাত মারুফের একটা হাত ধরলো, মারুফ একটা কথা কি তুমি ভেবেছ?

কী?

অ্যাডমিশন টেস্টগুলো শেষ হলে আর কোকোন ভার্সিটিতে ভর্তি না হতে পারলে আমাদের দুজনকে দুদিকে ছিটকে পড়তে হবে মারুফ, বলতে বলতে নুশরাতের দুচোখ পানিতে ভরে গেল, কণ্ঠস্বর বুজে এলো।

মারুফের মুখ শুকিয়ে গেল। সে কয়েক মুহূর্ত নুশরাতের দিকে তাকিয়ে রইল, তার চোখ দুটোও পানিতে ভরে গেল। সে রুদ্ধ কণ্ঠে বলল, আমি তো এভাবে ভাবিনি নুশরাত।

আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে মারুফ, বাবা আমাকে ভার্সিটি কোচিং করতে আসতে দিতে চায় নি, বলেছিল দিনাজপুরে থেকে কোচিং করতে কিন্তু আমি একরকম জোর করে এসেছি। আমি যদি ভার্সিটিতে অ্যাডমিশন নিতে না পারি তবে বাবা আমাকে হয় দিনাজপুরে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কোনো কলেজে ভর্তি করে দিবে আর না হয় বিয়ে দিয়ে দিবে, বলতে বলতে নুশরাতের চোখ থেকে কয়েক ফোটা পানি গড়িয়ে পড়ল।

নুশরাতের আশঙ্কাই সত্যি হলো। সারাদেশের সব ইউনিভার্সিটিতে দুজনে অ্যাডমিশন টেস্ট দিল। মারুফ চান্স পেল চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটিতে কিন্তু নুশরাত কোনো ইউনিভার্সিটিতে এডমিশনের সুযোগ পেল না। সবশেষ যেদিন রেজাল্ট পেল সেদিন অনেক কাঁদল। নুশরাত উচ্চ শিক্ষা এবং উন্নত জীবনের স্বপ্ন নিয়ে, নিজের পায়ে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়ে ঢাকায় কোচিং করতে এসেছিল কিন্তু তার দেখা স্বপ্ন ভেঙ্গে গেল, শুধু তাই নয় ঢাকায় এসে সে মারুফের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গেল। এখন মারুফ তার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ, মারুফকে ছাড়া সে জীবনে অন্য কাউকে কল্পনাও করতে পারে না এখন তার বাবা যদি দিনাজপুরে ফেরত নিয়ে গিয়ে বিয়ে দেয়।

না, না নুশরাত আর ভাবতে পারে না। সে বিছানায় উঠে বসল, তার চোখে কিছুতেই ঘুম আসছে না। সে মোবাইল ফোনের ঘড়িতে সময় দেখলো, রাত দুটা বাজে। সে একবার ভাবল মারুফকে ফোন করবে কী না, তারপর ফোন করল।

মারুফ ফোন রিসিভ করল, ঘুমে জড়ানো মারুফের কণ্ঠস্বর, হ্যালো।

নুশরাত কাঁদতে কাঁদতে জিজ্ঞেস করল, তুমি ঘুমাচ্ছ?

মারুফ বলল, হ্যাঁ। এখন তো অনেক রাত। কী হয়েছে নুশরাত, কোনো দুঃসংবাদ! মারুফের কণ্ঠে উৎকণ্ঠা।

দুঃসংবাদই তো। তুমি ভার্সিটিতে ভর্তি হবে আর আমি দিনাজপুর ফিরে যাবো এর চেয়ে দুঃসংবাদ আর কী হতে পারে মারুফ বলে নুশরাত কাঁদতে লাগল।

মারুফ সান্ত্বনার সুরে বলল, তাতে কী নুশরাত আমি তো আছিই।

মারুফ, মারুফ তুমি কিন্তু আমার সঙ্গে প্রমিজ করেছ তুমি আর কারো সাথে প্রেম করবে না, কাউকে বিয়ে করবে না।

মারুফ বলল, হ্যাঁ। ঠিক আছে তো নুশরাত। তুমি কি অন্যকিছু ভাবছ?

না, না আমি তোমাকে ছাড়া আর কারো কথা কল্পনাও করতে পারি না।

আমিও পারি না নুশরাত, প্লিজ তুমি কিচ্ছু ভেব না, এখন ঘুমাও।

আমার ঘুম আসছে না মারুফ, তুমি ভাবতে পার আগামীকাল আমি চলে যাচ্ছি, আবার কবে দেখা হবে, হবে কী হবে না আল্লাহই ভালো জানেন।

হবে নুশরাত, অবশ্যই হবে।

আমি ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অ্যাডমিশন ফর্মে তিতুমীর কলেজ, ইডেন কলেজ চয়েজ দিব, তুমি দেখ আমি চান্স পাব, তখন আমি ঢাকায় থাকবো আর মাঝে মাঝে তুমি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা এসে আমার সঙ্গে দেখা করবে।

অবশ্যই, অবশ্যই নুশরাত, এখন তুমি ঘুমাও প্লিজ! গুড নাইট।

পরদিন সন্ধ্যায় নুশরাতের ট্রেন, একতা এক্সপ্রেস। মারুফ নুশরাতকে তার মেস থেকে নিয়ে স্টেশনে গেল। ট্রেন ছাড়ার অনেক আগেই দুজনে স্টেশনে পৌঁছাল একরকম ইচ্ছা করেই, দুজনে পাশাপাশি, গল্প করে কাটাল অনেক সময়, গল্প তো নয় শুধু চোখের জল আর ভুরি ভুরি প্রতিশ্রুতি, একই প্রতিশ্রুতি বার বার।

একসময় বেরসিক সেই বিচ্ছিন্ন হওয়ার বাঁশি বেজে উঠল, পুঁ…

ট্রেন ছাড়ার শব্দে দুজনের বুক ভেঙ্গে গেল।

নুশরাত ট্রেনে উঠল, তার সিট পড়েছে জানালার পাশে, তার একহাতে টিস্যু পেপার, সে মাঝে মাঝে চোখ মুছছে আর অন্য হাত জানালার বাইরে রেখেছে, মারুফ নুশরাতের হাত নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে কথা বলছে আর বার বার চোখ মুছছে। এবার ট্রেনের ইঞ্জিন কসাইয়ের মত দুটো হৃদয় বিচ্ছিন্ন করে টান মারল, দুটো হাত আলাদা হলো, নুশরাত তবুও হাত বাড়িয়েই রইল, মারুফ হাত নেড়ে বিদায় জানাল।

মারুফ আরো কয়েকদিন ঢাকা থাকতে পারতো কিন্তু ঢাকায় প্রতি মুহূর্তে তাকে নুশরাতের স্মৃতি কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছিল। তাই সেও কয়েকদিনের মধ্যে চট্টগ্রাম চলে গেল। ঢাকা থেকে যাওয়ার পর নুশরাত প্রতিদিন মারুফকে মোবাইল করতো, অনেকক্ষণ দুজনে কথা বলতো। তারপর ধীরে ধীরে নুশরাত বদলে গেল। মারুফের ম্যাসেজের সময়মতো রিপ্লাই দিত না, মারুফ জিজ্ঞেস করলে বলতো বাসায় সমস্যা। সবসময় মোবাইল ফোন তার হাতে থাকে না কিন্তু মারুফের মনে হত নুশরাত হয়ত তার কাছে কিছু লুকাচ্ছে। ভালোবাসার মানুষ কখনো বদলে গেলে বোঝা যায়, ভালোবাসার মানুষের একজনের হৃদয়ের অনুভূতিও যেন আরেকজন অনুভব করতে পারে।

একদিন মারুফ ম্যাসেঞ্জারের ইনবঙে জিজ্ঞেস করল, নুশরাত তোমার কি কোনো প্রবলেম হয়েছে? তুমি কি বুঝতে পাচ্ছ তুমি বদলে গেছ?

নুশরাতের কোনো রিপ্লাই নেই।

মারুফ আবার লিখল, নুশরাত আমি কি কোনো ভুল করেছি?

না। নুশরাতের তবুও কোনো রিপ্লাই নেই।

মারুফ প্রচণ্ড রাগে নুশরাতকে মোবাইল করল, আশ্চর্য, নুশরাতের মোবাইল ফোন বন্ধ।

মারুফ রাগ করে আর কিছু লিখল না। মনে মনে সিদ্ধান্ত নিল আর কোনোদিন সে নুশরাতের সঙ্গে যোগাযোগ করবে না।

মারুফকে আর যোগাযোগ করতে হলো না, মারুফের যোগাযোগ করার সুযোগটাও একদিন বন্ধ হয়ে গেল। মারুফ নুশরাতের আইডি লিখে সার্চ দিল কিন্তু নুশরাতকে খুঁজে পেল না, পরে বুঝতে পারল নুশরাত তার আইডি ডিএক্টিভ করে দিয়েছে। মারুফ প্রচণ্ড আঘাত পেল। জীবনের প্রথম প্রেম, প্রথম আঘাত তার হৃদয় ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে গেল। মারুফ প্রমিজ করল আর কোনোদিন সে নুশরাতের সঙ্গে যোগাযোগ করবে না, কোনোদিন দেখা হলেও কথা বলবে না। কোনোদিন যোগাযোগ হয়ও নি কিন্তু মারুফ নিজের অজান্তে নুশরাতের মোবাইল ফোনে রিং দিয়েছে, নুশরাতের নাম লিখে ফেসবুকে সার্চ দিয়েছে কিন্তু কোথাও নুশরাতকে খুঁজে পায় নি।

মারুফের লেখাপড়া শেষ হয়েছে, কয়েক বছর ঢাকায় থেকে চাকরির ইন্টারভিউ দিয়েছে। ঢাকায় তাদের স্মৃতিময় জায়গাগুলোতে স্মৃতি হাতড়ে বেড়িয়েছে। সবকিছু ঠিকই আছে, সেই ফার্মগেট, সেই সিজান পয়েন্ট সবই ঠিক আছে শুধু নেই তার হারিয়ে যাওয়া প্রেম নুশরাত।

মারুফের চাকরি হয়েছে, সোনার হরিণ সরকারি চাকরি, কাকতালীয়ভাবে পোস্টিং হয়েছে দিনাজপুর, সেই একতা এঙপ্রেস ট্রেনে সে দিনাজপুর যাবে। তবে তাকে কেউ বিদায় জানাতে আসে নি, দিনাজপুরে কেউ তাকে স্বাগত জানাতেও আসবে না। সে কমলাপুর রেল স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছে, সবগুলো পিলার দেখতে একই রকম, মারুফ চিনতে পারছে না সে আসলে কোনো পিলারের কাছে দাঁড়িয়ে নুশরাতকে বিদায় দিয়েছিল, কোন পিলারের কাছে নুশরাতের হাত ধরেছিল, সেই হাত, সেই কান্নাজড়িত মুখ, সেই গণ্ডদেশ বেয়ে গড়িয়ে পড়া চোখের জলের ছাপ, সব মারুফের চোখের সামনে ভেসে উঠল মারুফ পিলার নাম্বার মনে করার চেষ্টা করল, হ্যাঁ, হ্যাঁ মনে পড়েছে। মারুফ এগিয়ে গেল সেই স্মৃতিময় পিলারের কাছে, পিলার নাম্বার সেভেন।

সমাপ্ত

Facebook Twitter Email

চোখের সামনে যেকোন অসঙ্গতি মনের মধ্যে দাগ কাটতো, কিশোর মন প্রতিবাদী হয়ে উঠতো। তার বহিঃপ্রকাশ ঘটতো কবিতা লেখার মধ্য দিয়ে। ক্ষুধা ও দারিদ্রের বিরুদ্ধে, নির্যাতন ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কবিতা। কবিতার পাশাপাশি সামাজিক অসঙ্গতি নিয়ে শুরু হলো ছোটগল্প, উপন্যাস লেখা। একে একে প্রকাশিত হতে থাকলো কাব্যগ্রন্থ, উপন্যাস। প্রকাশিত হলো অমর একুশে বইমেলা-২০২০ পর্যন্ত ০১টি কাব্যগ্রন্থ, ১৪ টি উপন্যাস, ০৪ টি কিশোর উপন্যাস, ০১ টি গল্পগ্রন্থ এবং ০১ টি ধারাবাহিক উপন্যাসের ০৩ খণ্ড। গ্রন্থ আকারে প্রকাশের পাশাপাশি লেখা ছড়িয়ে পড়লো অনলাইনেও। লেখার শ্লোগানের মতো প্রতিটি উপন্যাসই যেন সামাজিক অবস্থার প্রতিচ্ছবি।

Posted in ছোটগল্প

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*